• রোববার, ১৯ মে ২০২৪, ৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১
  • ||

৪০ বছরের মধ্যে বিশ্বে সর্বোচ্চ মূল্যস্ফীতি 

প্রকাশ:  ১৮ এপ্রিল ২০২২, ২৩:৩৫ | আপডেট : ১৮ এপ্রিল ২০২২, ২৩:৪২
পূর্বপশ্চিম ডেস্ক

চলতি বছর বিশ্বে মূল্যস্ফীতি বেড়ে দাঁড়িয়েছে সাড়ে ৮ শতাংশে, যা গত ৪০ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ। করোনা মহামারি, জলবায়ু পরিবর্তন ও রাশিয়ার ওপর পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞায় এ সংকট আরো প্রকট হয়েছে।

মার্কিন কনজিউমার প্রাইস ইনডেক্স (সিপিআই) এক প্রতিবেদনে এস ব তথ্য তুলে ধরেছে। এতে বলা হয়, এ বছর বিশ্বজুড়ে মূল্যস্ফীতি সাড়ে ৮ শতাংশ বেড়েছে। ফলে একই পণ্যের জন্য গত বছরের তুলনায় সাড়ে ৮ শতাংশ অর্থ বেশি খরচ করতে হচ্ছে। মূল্যস্ফীতি বৃদ্ধির প্রভাব পড়েছে বিশ্বের দরিদ্র দেশগুলোতে।

সিপিআই এর প্রতিবেদন বিশ্লেষণ করে রুশ গণমাধ্যম আরটি বলছে, বিশ্ব অর্থনীতিতে করোনা বড় ধরনের ধাক্কা দিয়েছে। করোনায় লকডাউনের ফলে দেশে দেশে দেখা দিয়েছে পণ্য সরবরাহের সংকট। যার সরাসরি প্রভাব পড়েছে জিনিসপত্রের দামের ওপর।

নীতি-নির্ধারকরা যখন বৈশ্বিক অর্থনীতি পুনরুদ্ধারের চিন্তায় মগ্ন, তখন আবারো করোনার নতুন ধরন ওমিক্রনের আঘাতে তীব্র হয় অর্থনৈতিক সংকট।

এ ছাড়া দ্রব্যমূল্যের দাম বৃদ্ধি পাওয়ার জন্য জলবায়ু পরিবর্তনকেও দায়ী করছেন বিশেষজ্ঞরা। কারণ যা কিছুই উৎপাদন করা হয় তা আসে প্রকৃতি থেকে। আর এমন কোনো শিল্প নেই যা জলবায়ু পরিবর্তন দ্বারা প্রভাবিত হচ্ছে না।

তবে মার্কিন গবেষণার দাবি, এ বছরের বৈশ্বিক মূল্যস্ফীতির জন্য সবচেয়ে বেশি দায়ী রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ। কারণ ইউক্রেনে রুশদের অভিযান বিশ্বব্যাপী খাদ্য সরবরাহকে বাধাগ্রস্ত করছে। উভয় দেশই কৃষিভিত্তিক পণ্য রপ্তানিকারক হওয়ায় বর্তমানে বিশ্বব্যাপী নিত্যপণ্যের দাম চড়া।

এদিকে বিশ্বের প্রধান জীবাশ্ম জ্বালানি তেল-গ্যাস রপ্তানিকারক ও বিশ্বের বৃহত্তম সার রপ্তানিকারক দেশ রাশিয়ার ওপর পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞা, সংকট আরো বাড়িয়ে দিয়েছে। সার আমদানি করতে না পারায় অনুন্নত দেশগুলো নানামুখী সংকটের সম্মুখীন হচ্ছে।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ক্রমবর্ধমান মূল্যস্ফীতির কারণে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে নিম্ন আয়ের মানুষ। কারণ তাদের আয়ের বেশিরভাগই নিত্যপণ্যের জন্য বরাদ্দ রাখতে হচ্ছে।

পূর্বপশ্চিম- এনই

মূল্যস্ফীতি
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত
close